আমাদের দৈনন্দিক জীবনে চলার পথে অর্থের প্রয়োজন হয়, আর এই অর্থ অথবা টাকা নিরাপদে রাখার জন্য, ব্যাংকে রাখতে হয় কারণ একমাত্র ব্যাংকই পারে আমাদের টাকা সবচেয়ে নিরাপদে রাখতে।
তাছাড়া বৈদেশিক রেমিটেন্স বৈদ্য পথে আসার জন্য ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন করতে হয় কারণ ছাড়া লেনদেন করলে টাকার কোন নিরাপত্তা থাকে না যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে অকাঙ্খিত দুর্ঘটনা।
আর এসব অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজন একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আর কি করে এ ব্যাংক একাউন্ট খুলতে হয় এবং কোথায় কোথায় যেতে হয় সব কিছু আমি ডিটেলসে বলব, ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে কি কি কাগজপত্র লাগে সবকিছুই আজকের আর্টিকেল আমি খুলে বলবো।
ব্যাংক একাউন্ট তিন প্রকার হয়ে থাকে যেমন সেভিং একাউন্ট, কারেন্ট একাউন্ট, আর স্টুডেন্ট একাউন্ট, সাধারণত সবাই সেভিং একাউন্ট খোলা থাকে কারণ সেভিং একাউন্ট খুলতে বিশেষ কোনো শর্ত লাগে না আপনি সাধারণ মানুষ হলে, আপনার ব্যাংক একাউন্ট খুলতে যা যা লাগবে।
যেমন ১. ন্যাশনাল আইডি কার্ডের ফটোকপি, ২. পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি ছবি, ৩. আপনার বাড়ির বিদ্যুৎ বিলের ফটোকপি যদি বিদ্যুৎ বিলের ফটোকপি না থাকে তাহলে পানি বিল এর ফটোকপি অথবা টেলিফোনের বিলের ছবি দিলেই হবে, ৪. এক জন নমনির ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি এবং স্বাক্ষর করা ১ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
যদিও বর্তমানে ব্যাংকে কিছু নিয়মকানুন করছে যেমন যে ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট খুলবেন সে একজন ব্যাংক একাউন্ট ধারীর সুপারিশ করার একটি ফরম পূরণ করে দিতে হবে যদি আপনাকে আমি পরামর্শ দেবো বেসরকারি অনেক ব্যাংক আপনাকে এ ব্যাপারে হেল্প করবে কারণ ব্যাংকের অনেক লোকজন আছে যারা আপনাকে একাউন খোলার ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করবে।
ব্যাংকের একাউন্ট খুলতে আপনাকে কোন প্রকার টাকা দিতে হবে না তবে 600 টাকা অথবা 1000 টাকা আপনার একাউন্টে জমা করতে হবে ব্যাংক একাউন্ট এক্টিভ করার জন্য এবং আপনাকে একটি এটিএম কার্ড দেবে সেই ব্যাংকের এটিএম থেকে টাকা তোলার জন্য, এরপর আপনাকে এক সপ্তাহ পরে এসএমএস এর মাধ্যমে জানানো হবে যে আপনার চেকবুক টি রেডি হয়েছে।
স্টুডেন্ট ব্যাংক একাউন্ট খুলতে যা যা লাগে
সাধারণত সেভিং একাউন্ট খোলার মত নিয়ম নেই, স্টুডেন্ট একাউন্ট খোলার জন্য আর স্টুডেন্ট একাউন্ট খুলতে আপনাকে আর যা কিছু কাগজপত্র জমা দিতে হবে যেমন স্কুল বা কলেজের আইডি কার্ডের ফটোকপি এবং একাউন্ট খোলার সময় আসল আইডি কার্ড দেখাতে হবে, তাছাড়া যে একাউন্ট খুলবে তার বাবা-মার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি সাথে দিতে হবে।
যা যা লাগবে ১. জন্মনিবন্ধনের অনলাইন ফটোকপি ২. যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী সেখানে স্টুডেন্ট আইডি কার্ড এর ফটোকপি ৩. বাবা-মার আইডি কার্ডের ফটোকপি ৪. বিদ্যুৎ বিল বা পানি বিলের ফটোকপি, ৫. পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি ৬. নমনির ভোটার আইডেন্টি কার্ড এর ফটোকপি সাথে নমনির স্বাক্ষরসহ ১ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
এগুলো হলো স্টুডেন্ট একাউন্ট খুলতে পারবেন আর সেভিংস একাউন্টের মতই সকল কিছুই করতে পারবেন এ অ্যাকাউন্ট দিয়ে বিদেশি রেমিটেন্স অথবা দেশের বাহির থেকে অনলাইনে আয় যেমন ইউটিউব ফেসবুক থেকে এসএমএস এর মাধ্যমে টাকা আসার জন্য ব্যাংক একাউন্ট যোগ করবেন এটাই।
এছাড়া স্টুডেন্ট একাউন্ট খুলতে আপনার নিজের একাউন্টে ৫০০ টাকা অথবা ১ হাজার টাকা জমা দিবেন সাথে সাথে আপনার একাউন্টে টাকাটা যোগ হয়ে যাবে এবং আপনি ব্যাংক থেকে একটি এটিএম কার্ড নিতে পারবেন যেটা দিয়ে আপনি সকল ধরনের লেনদেন করতে পারবেন এটিএম বুথের মাধ্যমে।
আর ব্যাংক একাউন্টে বাৎসরিক 500 টাকার উপরে চার্জ করে থাকে যদি বিভিন্ন ব্যাংকের বিভিন্ন রকম চার্জ করে থাকে, আরে চার্চটা ব্যাংকে কম বেশী হয়ে থাকে আশা করি আপনি সঠিক ব্যাংক খুঁজে নিবেন।
আমাকে কি বলতে পারো একটি মেঘের মধ্যে সবচেয়ে ভালো সার্ভিস যেমন আল আরাফা ইসলামী ব্যাংক, ইসলামিক ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক, আমি ব্যাংকগুলোতে লেনদেন করছি তাদের সার্ভিস অনেক ভালো।