জন্মনিবন্ধন সনদ তৈরি করতে কি লাগে

আমাদের সকলেরই কিছু কাগজপত্র লাগে যেগুলো ছাড়া স্কুল কলেজ মাদ্রাসা কিংবা সরকারি কোন অফিসে কোনরকম কাজকর্ম করা যায় না যেমন স্কুলে ভর্তি হতে গেলে জন্ম নিবন্ধন এর সার্টিফিকেট লাগবে বা পরীক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে গেলে বর্তমানে জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট ছাড়া রেজিস্ট্রেশন করা সম্ভব না।

এছাড়াও শিশু জন্মের 45 দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন করার নিয়ম করেছে সরকার তাছাড়া দুই বছরের উপরে গেলে জরিমানার বিধান রয়েছে এবং পাঁচ বছরের উপরে গেলে আরো কিছু জরিমানা দিতে হবে।

জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট করতে কত টাকা লাগে

45 দিনের ভিতরে যদি জন্মনিবন্ধনের সার্টিফিকেট করে করে তাহলে কোন প্রকার অর্থ দিতে হবে না বিনামূল্যে তা করে দেওয়া হয় আর 45 দিন থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত করলে 25 টাকা ফি জমা দিতে হয় এছাড়া পাঁচ বছর থেকে এর উপরে যত বড় হোক 50 টাকা দিতে হয়।

তাছাড়া নতুন পাসপোর্ট করতে গেলে বা ন্যাশনাল আইডি কার্ড করতে গেলে জন্ম নিবন্ধন এর সার্টিফিকেট লাগবে, এছাড়া জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট ছাড়া সরকারি কোনরকম কাজকর্ম করা যায় না, তাই আজকে আমি আপনাদেরকে বলবো কি করে জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট সংগ্রহ করা যায়।

জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট তৈরি করতে পারবেন অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমে অথবা আপনার ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে যারা সিটি কর্পোরেশনের অধীনে আছেন তাদের যেতে হবে কমিশনারের অফিসে।

এছাড়াও বর্তমানে হাতে লেখা জন্ম নিবন্ধনের সার্টিফিকেট কোন কাজে আসে না তাই যাদের জন্ম নিবন্ধন হাতে লেখা আছে তারাও এখন নতুন করে আবেদন করে অনলাইন করতে হবে তাই চলুন দেখে নেই কি করে নতুন জন্ম নিবন্ধনের সার্টিফিকেট নিতে পারি।

জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি লাগে

শূন্য থেকে 45 দিনের বিতর হলে শিশু যে হাসপাতালের জন্ম হয়েছে ওই হাসপাতাল থেকে একটি ছাড়পত্র দিবে এটার সাথে বাবা-মার ন্যাশনাল আইডি কার্ড অথবা জন্ম নিবন্ধনের সার্টিফিকেটের কফি দিতে হবে যদি হাসপাতাল বাদে অন্য কোথায় জন্মগ্রহণ করে তাহলে দিতে হবে জন্মের প্রমাণপত্র।

পাঁচ বছরের উপরে হলে একজন এমবিবিএস ডাক্তারের প্রত্যয়ন পত্র বা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য যাদের আমরা মেম্বার বলে থাকি বা কাউন্সিলর অফিস কাউন্সিলরের একটি প্রত্যয়ন পত্র দিতে হবে যদি এইগুলার একটু না দেওয়া যায় তাহলে স্থানীয় স্কুল এর প্রধান শিক্ষকের প্রত্যয়ন পত্র দিতে হবে জন্ম স্থান প্রমাণের জন্য, তাছাড়া যদি পাসপোর্ট থাকে পাসপোর্ট কপি দিতে হবে।

বর্তমানে অনলাইনে ও অফলাইনে দুই ভাবে করা যায় চলুন জেনে নেই কিভাবে আবেদন করব, যদি অফলাইনে করেন তাহলে স্থায়ী ইউনিয়ন পরিষদের যেতে হবে সেখানে ফ্রম উত্তোলন ফ্রম লেখা এবং ফরম জমা দেওয়া আবেদনকারীকে সশরীরে অথবা কারো মাধ্যমে জমা দিতে হবে।

এছাড়া অনলাইনে করতে আপনাকে যেতে হবে https://bdris.gov.bd/ এই ওয়েবসাইটে সেখানে গিয়ে আপনি যে এলাকার অধীনে জন্ম নিবন্ধন করতে চান এলাকা সিলেক্ট করতে হবে এবং বাংলা এবং ইংরেজি দুই ভাবেই অনলাইনে ফরম ফিলাপ করতে হবে করার পর আপনাকে অনলাইনে কপি গুলো ডাউনলোড করে, নির্দিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ এ জমা দিতে হবে।

জমা দেয়ার এক সপ্তার ভিতর আপনার জন্ম নিবন্ধন রেডি হয়ে যাবে তখন আপনি অনলাইনে অথবা সশরীরে গিয়ে আপনার জন্মনিবন্ধনের সনদ উত্তোলন করতে পারেন এবং অনলাইনে আপনি চেক করতে পারেন।

অনলাইনে চেক করতে আপনাকে যেতে হবে https://everify.bdris.gov.bd/ এই ওয়েবসাইটে সেখানে গিয়ে উত্তোলনকৃত জন্মনিবন্ধনের সনদের 17 অক্ষরের নাম্বারটা দিবেন এবং নিচে জন্ম নিবন্ধন এর দেওয়া জন্মতারিখ সঠিকভাবে লেখে এবং এর নিচে একটি ক্যাপচার থাকে ক্যাপচারটি পূরণ করে যাচাই ক্লিক করলেই চলে আসবে জন্মনিবন্ধনের অনলাইন কপি, তা দিয়ে আপনি সকল প্রকার সরকারি-বেসরকারি কাজ করতে পারবেন।

Check Also

ভালোবাসার মানুষের অভিনয় পর্ব=৪

গল্প – অভিনয় Part – 04 writer – J$_ArFin_SuMon আরে ব্যাপার না ডাইরীর যেটুকু পুরে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *