১. কুরআনের মর্যাদা
ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল রহ. রমাদান মাসেই কুরআনের মর্যাদা রক্ষায় জীবনকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিয়েছিলেন। আব্বাসী খলিফার চাবুকের ক্রমাগত আঘাত সইতে না পেরে একেকদিন বেহুঁশ হয়ে যেতেন। এমন অবিশ্বাস্য নির্যাতনের মুখেও কুরআনের সম্মান রক্ষার দাবি থেকে একবিন্দু পিছু হটেন নি। রোজাও ভাঙেন নি। আমি কী করছি? টেনেটুনে একপারা তিলাওয়াত করছি? অথচ তাঁরা দিনে রাতে দুই খতম দিতেন।
.
২. অনিদ্রা রোগ
এক আরব খ্রিস্টানের সরল স্বীকারোক্তি,
আপনি সব সময় এত হাসিখুশি কীভাবে থাকেন?
আমি প্রতিদিন শোয়ার আগে একটা কাজ করি।
কী কাজ?
ভালো করে গোসল করে কুরআন খুলে কয়েকটা ‘ভার্স’ বাইবেলের মতো সুর করে করে পড়ি। আগে আমার অনিদ্রা রোগ ছিল, একজন ‘দরবেশ’ আমাকে এই পরামর্শ দিয়েছিলেন। এখন রাতে আমার গভীর ঘুম হয়। আগে আমি বিষন্ন রোগে ভুগতাম। এখন দিনের পর দিন আমার একবারও খারাপ হয় না।
অথচ মাসের পর মাস চলে যায়, আমি একবারও কুরআন কারিম খুলে বসি না।
.
৩. আল্লাহকে চেনা
সর্বশ্রেষ্ঠ সর্বোচ্চ সর্বোৎকৃষ্ট সর্বোপকারী ইলম হলো, আল্লাহকে চেনার ইলম। আল্লাহকে চেনার ইলম অর্জনের অব্যর্থ কার্যকরী পদ্ধতি হলো:
ক. কুরআন কারিমের আয়াত নিয়ে তাদাব্বুর করা।
খ. সৃষ্টিজগৎ নিয়ে গভীর ভাবনায় ডুব দেওয়া।
.
৪. বুঝে পড়া
কুরআন কারিম পড়ার সময় বোঝার চেষ্টা করা। আরবি না জানলেও অন্ধকারে হাতড়ানোর মতো হলেও অর্থটা অনুভব করার চেষ্টা করা। কুরআন পড়া মানে আল্লাহর সাথে কথা বলা। তখন মনকে সব চিন্তা থেকে অবমুক্ত করে নিলে অফুরন্ত লাভ। আমি আল্লাহর কথা বুঝতে পারছি না, কিন্তু আল্লাহ তো আমার কথা বুঝতে পারছেন। আমি যে তাঁরই কথা উচ্চারণ করছি। আমার এই না-বোঝা আবৃত্তি শুনে তিনি কি খুশি না হয়ে পারেন? আমাকে তাঁর নৈকট্য দান না করে পারেন?
.
৫. অফুরন্ত শক্তি
কুরআন কারিমের প্রতিটি আয়াতই অফুরন্ত শক্তির আধার। গভীর মনোযোগ দিয়ে তিলাওয়াত করলে, বারবার একই আয়াত পড়তে থাকলে, মনের দুঃখ দূর হয়। যাবতীয় দুশ্চিন্তা উবে যায়। জীবন ও কর্মে প্রভূত বরকত আসে। আমরা চর্মচক্ষে এসব বরকত দেখতে পাই না। আল্লাহ তাআলা আমাদের অগোচরেই নানাবিধ বরকতে আমাদের জীবনকে পূর্ণ করে দেন। নবীজি সা. একটা আয়াত পড়ে পড়েই সারারাত কাটিয়ে দিয়েছেন।
.
৬. মূল্যায়ন
কুরআন কারিম নিয়ে মুসলিম-অমুসলিম-নির্বিশেষে মনীষীগণ নানারকম মন্তব্য করেছেন। যে যার বুঝ মতো মতামত প্রকাশ করেছেন। ভালোলাগার অনুভূতি জানিয়েছেন। এসব মন্তব্য ও অভিব্যক্তিগুলো খুঁজে খুঁজে পড়লে কুরআন কারিমের প্রতি আগ্রহ বাড়ে। নতুন করে বাড়তি ভালোবাসা জন্মায়।
.
৭. আল্লাহর প্রদি দরদ
বাবা-মা, বিবি-বাচ্চার প্রতি আমার কেমন দরদ, সেটা মাপা যায়। তার গভীরতা অনুমান করা যায়। আচরণ দিয়ে, ব্যবহার দিয়ে, যাপিত জীবন দিয়ে। আল্লাহর প্রতি আমার ভালোবাসা কতটা গভীর, সেটাও মাপা যায়। কুরআন কারিমের প্রতি আমার ভালোবাসা কতটা গভীর, সেটা দিয়ে।
.
৮. ধনভান্ডার
কুরআন কারিম হলো ধনভান্ডারের মতো। কাউকে বিশাল এক ধনভান্ডারের চাবি দিয়ে যদি বলা হয়, তোমার যত ইচ্ছা দুহাত ভরে হীরা-জহরত-মণিমুক্তা নিয়ে নাও। মানুষটা দু’হাত ভরে নিবেই, কসরত করে গিলেও কিছু মুক্তা নিয়ে আসতে চাইবে। আঁশ না মেটা পর্যন্ত ধনভান্ডার ছেড়ে একচুলও নড়তে চাইবে না।
কুরআন কারিম ইলমের মণি-মুক্তায় ভরপুর। তবুও কুরআন নিয়ে বসতে মন চায় না। বসলেও কখন উঠব তার জন্যে ঘন ঘন ঘড়ির দিকে চোখ যায়। বারবার হাই ওঠে। নানাবিধ গুরুত্বপূর্ণ কাজের কথা মনে পড়ে যায়। অথচ হওয়ার কথা ছিল উল্টোটা।
.
৯. হিদায়াত
রাব্বে কারিম অনেক সময় অনীহ বান্দাকেও হিদায়াত দিয়ে দেন। এমন অনেক ঘটনা আছে, কুরআন কারিমের ভুল বের করার নিয়তে কুরআন নিয়ে বসেছে। দুয়েক আয়াত পড়েই হিদায়াতি বুঝ পেয়ে গেছে। জাহান্নাম নিতে এসে জান্নাত নিয়ে ফিরে গেছে।
.
১০. নিয়ামত
সব সময় কুরআন কারিম নিয়ে থাকেন। কুরআন কারিম নিয়ে গবেষণা করেন। কুরআন কারিম-বিষয়ক বিশাল বিশাল গ্রন্থ লিখেন। সারা জীবন কুরআন কারিম নিয়ে কাটিয়েছেন। এমন মানুষও কিন্তু হিদায়াত থেকে দূরে থাকতে পারেন। মৃত্যুর সময় কালিমাহীন থাকতে পারেন। হিদায়াত এক আজিব নিয়ামত।
.
১১. প্রলোভন
শয়তানের কাছে অত্যন্ত বিপজ্জনক বিষয় হলো, আমার কুরআন কারিম নিয়ে বসা। শয়তান তার সর্বশক্তি ব্যয় করে আমাকে কুরআন কারিম থেকে দূরে সরাতে। নানা সুন্দর সুন্দর বিকল্প সামনে রাখতে থাকে। আমার মতো দুর্বল বান্দারা সেইসব প্রলোভন এড়াতে পারে না। ফাঁদে পড়ে যায়।
.
১২. কুরআনের প্রভাব
কুরআন কারিম তিলাওয়াত করলে স্বভাবে কোমলতা আসে।
কুরআন কারিম হিফজ করলে মর্যাদা বুলন্দ হয়।
বিষন্ন মন নিয়ে তিলাওয়াত শুরু করলে অল্পক্ষণেই মনটা প্রফুল্ল হয়ে ওঠে।কুরআন কারিমের সাথে লেগে থাকলে সমস্ত দুঃখ-কষ্ট দূর হয়ে যায়।
কুরআন কারিমকে কলবে স্থান দিলে?
সে কলব থেকে দুনিয়া বের হয়ে যায়।
সে কলবে সুখ-সৌভাগ্য এসে বাসা বাঁধে।
সে কলবওলার জীবনে বরকতের বান ডাকে।
ধন্য হোক, কুরআন দ্বারা পূর্ণ হৃদয়, কুরআন দ্বারা সজ্জিত হৃদয়।
ইয়া রাব্ব, আমাদেরকে এমন মানুষের অন্তর্ভুক্ত করুন।
.
১৩. ঈমানখেকো
আমাদের কথা হচ্ছিল দোকলাম আর চিকেন নেক নিয়ে। অবাক হয়ে দেখলাম, দৈনিক পত্রিকার, অনলাইন পোর্টালের প্রায় সব খবরই তার নখদর্পণে থাকে। দোকলাম অঞ্চল নিয়ে চীন-ভারতের দ্বৈরথ, দার্জিলিংয়ের চিকেন নেক নিয়ে ভারতের থরহরি কম্পমান অবস্থা, মার্কিনি গুয়াম ঘাঁটিতে হামলার জন্যে উত্তর কোরীয় ‘রাজার’ হুমকি, সবই তার নখদর্পণে। কিন্তু বিশটা মিনিট কুরআন কারিমের জন্যে ব্যয় করার ফুরসত মেলে না। কখনো সালাতও পিছিয়ে যায়। মিডিয়া এক প্রচ- ঈমানখেকো দানবে পরিণত হয়েছে।
.
১৪. কিয়ামুল লাইল
কিছু মানুষ থাকে, তাদের সাথে কথা বলতে দাঁড়ালে কোন ফাঁকে সময় পেরিয়ে যায়, টেরও পাওয়া যায় না। গত পরশু বিশ^রোডের পাশে দাঁড়িয়ে কথা শুরু হলো। ঈশার পর থেকে। কোন ফাঁকে সাড়ে এগারোটা বেজে গেল, আল্লাহই ভালো জানেন। একই জায়গায় সাড়ে বারোটা বাজার রেকর্ডও আছে। এই বিশেষ ‘কিয়ামুল লাইলে’(!) খুব বেশি মানুষ থাকে না।
যত বিষয় নিয়েই আমাদের কথা হোক, শেষ মুহূর্তে এসে কুরআন কারিমে ঠেকবেই। সেদিনও তা-ই হলো। কালও একই অবস্থা। প্রতিবারই তিনি আমাকে প্রশ্ন করেন,
তিলাওয়াত কেমন চলছে?
এবার আমিই প্রশ্ন করলাম,
‘তিলাওয়াতের তাওফিক কেমন হচ্ছে’?
আসলে কুরআন কারিম নিয়ে যতই সময় কাটানো হোক, গবেষণা করে কাগজের বিশাল স্তূপ দিয়ে ফেললেও তিলাওয়াতের বিকল্প কিছুই নেই। বেশি বেশি তিলাওয়াত করতেই হবে। এটার মতো শক্তিশালী আমল আর কিছু নেই। তিলাওয়াত মানে হলো, ডিরেক্ট কল। ডাইভার্ট কল নয়। প্রতিবার আমাদের এই বিশেষ ‘কিয়ামুল লাইলের’ পর তিলাওয়াতের মান ও পরিমাণ বেড়ে যায়। আলহামদুলিল্লাহ।
.
১৫. নারীর শক্তি
একজন নারীর কতটা শক্তি? দ্বীন প্রচারের ক্ষেত্রে? না না, টিভি মিডিয়া বা ফেসবুকের কথা বলছি না। ঘরে থেকেই একজন নারী কতটা দ্বীনের কাজ করতে পারে? প্রশ্নটা যখনই জাগে, সাথে সাথে একটা শে‘রও পাশাপাশি মুখে চলে আসে!
তু মী দা-নী কেহ সূজে কেরাআতে তূ
দিগরগোঁ করদ তাকদীরে উমার রা।
শে‘রটা প্রায়ই মাথায় ঘোরে। আল্লামা ইকবাল মরহুমের চিন্তাগুলো বড়ই অদ্ভুত। যেদিকে কারো দৃষ্টি যায় না, তার দৃষ্টি খুঁজে খুঁজে ঠিক সেখানে হাজির হয়। বোনের কুরআন পড়া, কুরআন শিক্ষার প্রতি দরদ, কুরআনের শিক্ষার প্রতি অবিচল আস্থা দেখে উমার ঈমান এনেছিলেন। এ-ঘটনার দিকেই ইঙ্গিত করেই আল্লামার স্বগতোক্তি,
তুমি তো জানই তোমার তিলাওয়াতে কতটা শক্তি।
উমারের মতো মানুষের তাকদিরই বদলে দিয়েছে।
.
১৬. মুফাসসির
দ্বীন সম্পর্কে জানার একটা পর্যায়ে গিয়ে কারো কারো মধ্যে কিছু বিচ্যুতি দেখা দেয়। তাদের মধ্যে মুফাসসির বা মুহাদ্দিস হওয়ার শখ জাগে। মুফাসসির হতে গিয়ে নিজের বুঝ মতোই কুরআন ব্যাখ্যা করতে শুরু করে দেয়। ভেবে দেখে না, আমি যা বলছি, সেটা সালাফের মানহাজ অনুযায়ী হচ্ছে তো? নাকি কুরআন থেকে গায়ের জোরে যুগোপযোগী সমাধান বের করতে গিয়ে খোদ নিজেই উৎকট এক জীবন্ত সমস্যায় পর্যবসিত হচ্ছি?
.
১৭. মুজিযা
কুরআন কারিম খোদ একটি ‘মুজিযা’। শুধু তা-ই নয়, পাশাপাশি মুজিযার জন্মদানকারীও বটে। কুরআনের সংস্পর্শে জন্ম নিয়েছে অসংখ্য মুজিযা। কুরআন কারিমের উপর আমল করে অনেক মানুষ আল্লাহর ওলি হয়েছেন। সেই ওলিগণের হাত দিয়ে অনেক ‘কারামত’ মানে অলৌকিক ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে। এটা কুরআনেরই বরকত।
পার্থক্য হলো, নবীগণের মাধ্যমে প্রকাশ পাওয়া অলৌকিক ঘটনাকে ‘মুজিযা’ বলে। ওলি-বুজুর্গুর হাত দিয়ে প্রকাশ পাওয়া অলৌকিক ঘটনাকে ‘কারামত’ বলে। কুরআন কারিম এতই প্রভাবশালী কিতাব, শুধু ঈমানদার নয়, একজন কাফিরও উপকৃত হতে পারে।
(হাকীমুল উম্মতের মালফুযাত অবলম্বনে)
.
১৮. পকেটে কুরআন
পকেটের মধ্যে কুরআন কারিম নিয়ে ঘোরাফেরা করলেই সবকিছু হয়ে যাবে—এমনটা নয়। নিজের আখলাকের মধ্যে একটা আয়াত নিয়ে ঘোরাটা অনেক বড় কিছু।
.
১৯. কুরআনের ধুলো
একটা বাক্য পড়লাম, ভেতরে বড়সড় একটা ধাক্কা লাগল। বাক্যটি হলো,
‘তুমি তোমার মোবাইলে ধুলো পাবে না। কিন্তু কুরআনের ওপর ঠিকই ধুলো জমে থাকতে দেখবে’।
আসলেই যদি অবস্থা এমন হয়, তাহলে তুমি ধরে নাও, তুমি বান্দার সাথে সম্পর্কস্থাপনকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছ। অবহেলা করছ আল্লাহর সাথে সম্পর্কস্থাপনকে।
আশ্চর্যের বিষয় হলো, বাক্যটা পড়ার সাথে সাথেই মোবাইল এবং কুরআন উভয়টার প্রতি চট করে নজর দিলাম। হায় হায়, কুরআনের ওপর ধুলোর হালকা স্তর জমে আছে,
ইয়া আল্লাহ!
.
২০. তিলাওয়াতের তাওফিক সবারই মনে ইচ্ছা থাকে, প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণে কুরআন তিলাওয়াত করার। যদি সে পরিমাণ তিলাওয়াত প্রতিদিন না হয়, বা করা হলেও মনের ওপর জোর খাটিয়ে করতে হয়, তাহলে বুঝে নিতে হবে,
কোনও গুনাহ আমার কলবকে আচ্ছন্ন করে রেখেছে। মলিন করে ফেলেছে। পাপের এ মলিনতা-কলুষতাই আমাকে নির্দিষ্ট পরিমাণে কুরআন তিলাওয়াত থেকে বাধা দিয়ে রাখছে।
.
২১. সৌভাগ্যের উৎস
আমরা কত কত জায়গায় সৌভাগ্যের সন্ধান করি, অথচ যাবতীয় সৌভাগ্যের উৎস অযতেœ, অবহেলায়, ধুলোমলিন অবস্থায় বইয়ের তাকে, পড়ার টেবিলের এক কোণে অসহায়ের মতো পড়ে থাকে।
আমরা নিশ্চয় বুঝে গেছি সেটা কী?
‘আল-কুরআন’।
.
২২. কুরআনি চিকিৎসা
মানসিক রোগের জন্যে যত বড় ডাক্তারের কাছেই যাই, কুরআন কারিমের একটি আয়াত আমার মনকে যতটা শাস্তি দিতে পারবে, সুখ দিতে পারবে, দুনিয়ার তাবত ডাক্তার মিলেও তা পারবে না।
.
২৩. আল্লাহর রজ্জু
কুরআন কারিম একটা রশির মতো। এর একটি দিক আল্লাহর হাতে, আরেক দিক আমার হাতে। আমি যত বেশি রশিটা ধরে থাকবো, ততবেশি আল্লাহর সাথে জুড়ে থাকতে পারবো। আমি যত বেশি রশিটা ঢিল দেবো, তত বেশি আমি গোমরাহির অতল গহ্বরে পতিত হতে থাকব।
শুধু ধরে থাকলেই হবে না, শক্ত করে ধরতে হবে। কারণ এই রশির অদৃশ্য একটি টান আছে। আমাকে আস্তে আস্তে টেনে আল্লাহর দিকে নিয়ে যাবে। যেমন তেমন করে ধরে থাকলে, আমি এক জায়গায় স্থির হয়ে থাকবো। কোনও উন্নতি হবে না।
.
২৪. প্রয়োজন পূরণ
কুরআন কারিম সবার জন্যে। সবার প্রয়োজন মেটায়।
ঈমান বৃদ্ধি পাওয়ার জন্যে তিলাওয়াত করলে ঈমান বৃদ্ধি পায়।
ভয় দূরীভূত করার জন্যে তিলাওয়াত করলে ভয় দূর হয়।
দুঃখ-শোক দূরীভূত করার জন্যে তিলাওয়াত করলে দুঃখ-শোক দূর হয়।
আল্লাহর মহব্বত বৃদ্ধির জন্যে তিলাওয়াত করলে মহব্বত বৃদ্ধি পায়।
.
২৫. কুরআনের ভালোবাসা
যে জন্মগতভাবে বোবা, সেও চায় সুন্দর সুললিত কণ্ঠে কুরআন তিলাওয়াত করবে। মায়ের পেট থেকেই বধির হয়ে এসেছে, সেও গভীর আশায় প্রহর গোনে, আল্লাহর কালাম শুনবে। জন্মান্ধ ব্যক্তিও মনে মনে সুপ্ত বাসনা পোষণ করে, কুরআন কারিমকে একটু নিজ চোখে দেখবে। আমার চোখ আছে, আমার বাকশক্তি ঠিক আছে, আমার দৃষ্টিশক্তি ঠিক আছে! আমি কী করছি? আমাকে কি আমার মোবাইল গ্রাস করে নিয়েছে?